Thursday, June 26, 2025
Google search engine
Homeজানা-অজানাআপনার ব্যাংক একাউন্ট হোল্ড অথবা নির্দিষ্ট টাকা লিন হয়ে গেছে

আপনার ব্যাংক একাউন্ট হোল্ড অথবা নির্দিষ্ট টাকা লিন হয়ে গেছে

UPI Scam or Froud bank account hold line

আজকাল বেশিরভাগ মানুষেরই একাউন্টে হোল্ড করে দেয়া হচ্ছে অথবা লিন করে দেয়া হচ্ছে। সাবধানে থাকুন আপনারও অ্যাকাউন্ট হোল্ড বা লিন এমাউন্ট করার আগে জেনে রাখুন কিভাবে আপনার একাউন্ট কে সুরক্ষিত রাখবেন।

ডিজিটাল ট্রানজেকশন শুরু হওয়াতে মানুষ এর যেমন সুবিধে হয়েছে তেমনি বেশ কিছু মানুষ এই ডিজিটাল ট্রানজেকশন এর সুযোগ নিয়ে কিছু মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

মানুষ যখন প্রতারিত হয় তখন নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানায় ব্যাংক অথবা সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট বা সাইবার সেলে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে সাইবার সেল ওই নির্দিষ্ট একাউন্ট থেকে ট্রানজেকশনের অ্যামাউন্টটি কোন কোন একাউন্টে গেছে এবং তা খতিয়ে দেখে সেই অ্যামাউন্ট বা টাকার পরিমাণ ওই নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্ট গুলিতে ফ্রিজ করে দেয়া হয়। যে একাউন্টগুলিতে ওই ট্রানজেকশন হয় এবং কে কার কাছ থেকে টাকা পেয়েছে তা কিন্তু তদন্ত করে সেই টাকা ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে।

এইভাবে যারা প্রতারিত হয় তারা তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে টাকা ফেরত পায়।

কিন্তু এইখানেই নতুন একটি প্রতারণা আবার শুরু হয়েছে।

আর বি আই ডিসেম্বর 2024 একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাই কোন অ্যাকাউন্ট হোল্ডার তার একাউন্টে Froud অথবা ভুল ট্রানজেকশন হলে তার অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট এতদিন তদন্ত করতে এবং একাউন্ট গুলি ব্যাংকে হোল্ড করার নির্দেশ দিত। আর বি আই এর নোটিফিকেশন অনুযায়ী এখন জানুয়ারি 2025 থেকে ব্যাংক সরাসরি একাউন্টগুলি ফিজ করতে পারবে।

আর এখান থেকে নতুন প্রতারণা শুরু উদাহরণ হিসেবে আপনি একটি দোকান চালান বর্তমানে ডিজিটাল ট্রানজেকশনের সম্ভাবনা অনেক বেশি তাই কোন সামগ্রী বিক্রি করার পর আপনি ইউপিআই এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিলেন আর আপনি পেমেন্ট নেবেন এটাও স্বাভাবিক কারণ আপনি তাকে মাল বিক্রি করেছেন ওই কাস্টমার মাল ক্রয় করে আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চলে গেল। অথবা কোন মানুষ আপনার কাছে এসে বলল দাদা আমার ক্যাশ লাগবে, আমি আপনাকে ইউপিআই করে দিচ্ছি আপনি আমাকে ক্যাশ দিন। আপনি বললেন ১০০০ টাকা পাঠালে আমাকে ১০ টাকা বেশি দিতে হবে। কাস্টমার রাজি আপনাকে ১০১০ টাকা দিল আপনি তাকে হাজার টাকা দিলেন। আপনিও খুশি কাস্টমার তো খুশি কাস্টমার চলে গেল। পরের দিন আপনি দেখলেন আপনার একাউন্টে ওই ১০০০ টাকা ফ্রিজ করে দেয়া হয়েছে ব্যাংকের তরফ থেকে অথবা লিন এমাউন্ট দেখানো আছে।
কারণ জানতে আপনি ব্যাংকে ছুটলেন ব্যাঙ্ক আপনাকে বলবে আপনার অ্যাকাউন্টে যে হাজার টাকা এসেছে কাস্টমার অভিযোগ করেছে ভুল করে আপনার একাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছে অথবা কাস্টমারের সাথে ফ্রড হয়েছে। তাই আপনার একাউন্টে ওই ১০০০ টাকা ফিজ করে দেয়া হয়েছে।
আপনি ব্যাংকে লিখিত দরখাস্ত দেবেন যে আমি মাল বিক্রয় করেছিলাম ইউপিআই তে পেমেন্ট নিয়েছি।
কিন্তু ব্যাংকে কোন রশিদ দেখাতে পারবেন না মাল বিক্রি করার। তাই আপনার একাউন্ট ফিজি থেকে যাবে।

যদি কোন পণ্য বিক্রি করে থাকেন তাহলে আপনার কাছে রশিদ থাকবে তাহলে আপনি কিন্তু ব্যাংকে রশিদ কি দেখাতে পারবেন। ব্যাংক চাইলে আপনার আবেদনের ভিত্তিতে KYC করিয়ে আপনার একাউন্টে খুলে দেবে। অথবা বিভিন্ন তদন্তের মাধ্যমে আপনার একাউন্টটি তিন মাস পর্যন্ত হোল্ড থাকতে পারে।

কি করবেন:-
১) কোন দোকান বা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কারেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করুন।
২) কারেন্ট একাউন্ট খোলার সময় আপনার ব্যবসায়িক বর্ণনা দিন। (আপনার ট্রানজেকশন আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কযুক্ত না হলে সেক্ষেত্র আপনার অ্যাকাউন্ট হলে থাকার সম্ভাবনা আছে)
৩) পন্য বা মাল বিক্রি করার সময় অবশ্যই রশিদ দেওয়া নেওয়া করুন এবং কাস্টমারের সই করিয়ে রাখুন।
৪) আপনার ব্যবসার সাথে যুক্ত পণ্য বিক্রয় করুন।
৫) অপরিচিত ব্যক্তি হলে নগদে লেনদেন করার চেষ্টা করুন।
৬) ডিজিটাল ট্রানজেকশন হলে ট্রানজেকশন নাম্বার ও কাস্টমারের নাম নোট করে রাখুন।
৭) চাইলে দোকানে AEPS সিস্টেম রাখতে পারেন কাস্টমারের আঁধারের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারেনা।

৮)বিভিন্ন ধরনের অনলাইন গেম যেগুলি সরকার অনুমোদিত নয় সেখান থেকে টাকা লেনদেন করবেন না।

৯) অবৈধ crypto currency ট্রেডিং করবেন না।
১০) নিজের একাউন্ট অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না।
১১) আপনার একাউন্টের লেনদেনের লিমিট ক্রস করবেন না।

কি করবেন না:-
১) কোন অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে ইউপিআই পেমেন্ট নেবেন না।
২) কেউ আপনাকে বললো ইউপিআই পেমেন্ট দিচ্ছি আমাকে ক্যাশ দিন সেটা করবেন না।
৩) আপনার ব্যবসার সাথে আপনার ব্যাংক একাউন্ট যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
৪) ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সেভিং একাউন্ট ব্যবহার করবেন না।

এরকম কোন ট্রানজেকশন এর ক্ষেত্রে আপনার এমাউন্ট হোল্ড অথবা লিন থাকলে ব্যাংকের কাছে আবেদন করুন। ব্যাংক চাইলে আপনার একাউন্টটি পুনরায় সচল করে দিতে পারে। জেলা কোর্টের কাছে একটি আবেদন করতে পারেন তাতে করে ব্যাংক এবং আরবিআই এর কাছে নোটিশ দিয়ে কোট জানতে চাইতে পারে। এছাড়াও আপনি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। সবার আগে সাইবার এক্সপার্ট এর সাথে কথা বলুন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments